শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
Menu
Menu

সরকারি বাসা ভাড়া দিয়ে লাখ টাকা আয় রেলওয়ে কর্মচারীর!

Facebook
Twitter

অনলাইন ডেস্ক।।
চট্টগ্রামে রেলওয়ে ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত কারখানায় কর্মরত দুই কর্মচারী বিরুদ্ধে বরাদ্দ করা সরকারি বাসা অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে কর্মরত ক্যারেজ খালাসী নাজমুল হোসেন ও ইলেকট্রিক খালাসী বাহাদুর। অভিযোগ আছে, বহিরাগতদের বাসা ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা নেন তারা। হিসাব করলে দেখা যায়, বছরে প্রায় সাত লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলী সেগুন বাগান ৪নং লেইনের শেষ মাথায় রেঞ্জ রোড়ের বাসা নং ই-২৮ সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। দুই বছর থেকে ওই বাসার আশপাশে খালি জায়গায় অবৈধভাবে দশটি দালানকোঠা নির্মাণ করেছেন। প্রতিটা ঘরের ভাড়া নেন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা নেন নাজমুল হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভাড়াটিয়া বলেন, খালাসী নাজমুলের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অবৈধ ব্যবহার করলেও ভাড়ার সঙ্গে সব বিল দিতে বাধ্য করে আমাদের।

সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বলেন, খালাসী নাজমুল বড় অংকের টাকার বিনিময়ে এই বাসা খালাসী বাহাদুরের কাছে বিক্রি করেছে বলে আমরা জানি। একাধিক স্থানীয় আরও জানান, তারা দুজন যোগসূত্র হয়ে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করে ভাগাভাগি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত খালাসী নাজমুল বলেন, আমি এখন এ বাসায় থাকি না। বাহাদুর নামের আরেক খালাসীর সঙ্গে বাসা পরিবর্তন করেছি। অবৈধভাবে বাসা ভাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে নাজমুল আরও বলেন, এখন যত অনিয়ম সবই বাহাদুর করছে। আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নই বলে দাবি করেন তিনি।

অভিযোগ বিষয়ে বাহাদুর বলেন, আমি গত মাস থেকে উঠেছি। অবৈধ ভাড়ার বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে দাবি করেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিষয়ে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এর বাইরে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি পরে এ প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি। তবে বর্তমান ভাড়াটিয়ারা বলছেন, বিদ্যুতের সংযোগ অবৈধভাবে বাইরে ম্যানেজ করে দিয়েছেন তিনি।

সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করে দুই কর্মচারীর অবৈধ আয়ের অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করা হয় চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমানে সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, সরকারি কোয়ার্টার অন্যত্র ভাড়া দেওয়া গুরুতর অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য এসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। সেসব সুযোগ-সুবিধায় ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে অবগত হলাম। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূএ-যুগান্তর।

জনপ্রিয়